ঢাকা কলেজ : নিজেকে জানো

আরও পড়ুন

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ এর প্রশাসনিক ও মূল একাডেমিক ভবনের একাংশ : ছবি - ইন্টারনেট

ঢাকা কলেজ। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ‘নিজেকে জানো’ মূলমন্ত্র ধারণ করে দীর্ঘ ১৮০ বছরের পথচলায় সময়ের সাথে শিক্ষার আলো বিতরণের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবেই পরিচিত দেড়শ বছরেরও বেশি পুরোনো এই বিদ্যাপীঠ। ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শিক্ষা বিস্তারের মূল কেন্দ্রবিন্দু। শুধু ঢাকা নগরীই নয়, এই উপমহাদেশের বিদ্যারণ্যে প্রবীণ এক বৃক্ষের নাম ‘ঢাকা কলেজ’।


ইতিহাসের পাতায় ঢাকা কলেজ

ভারতে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ শাসন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে প্রাধান্য পেত মুদ্রা পাচার ও বাণিজ্য। তবুও তারা ভারতীয়দের জন্য ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা, ১৭৯১ সালে বারাণসীতে ‘সংস্কৃত কলেজ’ এবং ১৮০০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ‘চার্টার অ্যাক্ট-১৮১৩’ এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতীয়দের শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৮১৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট ছিল ভারতীয়দের আধুনিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু কলেজ। এরপর প্রায় দুই দশক কেটে যায় ভারতে শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম ও পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্কে। ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য লর্ড ম্যাকলের ‘মিনিট অন এডুকেশন’- এ প্রস্তাব রাখা হয় ভারতের শিক্ষা হবে ইংরেজি ভাষায় এবং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে। এর ফলশ্রুতিতে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিক ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন অ্যাক্ট’ প্রস্তাব করেন। এই অ্যাক্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ এর প্রস্তাবে সমগ্র বাংলার প্রথম সরকারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকায়। প্রতিষ্ঠাকাল ১৫ জুলাই ১৮৩৫ খ্রি.। স্কুলটি পরিচিত ছিল ’ইংলিশ সেমিনারি’ নামে। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ঢাকা হয়ে ওঠে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড ১৮৩৯ সালে শিক্ষা বিষয়ে তার বিখ্যাত Minute উপস্থাপন করেন যার প্রেক্ষিতে ১৮৪০ সালে জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন গভর্নর জেনারেলের নিকট ঢাকায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুমোদিত হয় এবং ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ’ তথা ঢাকা কলেজ।

$ads={1}

১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড ড্যানিয়েল ঢাকা কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও ওই ভবনের নকশা করেছিলেন কর্নেল গ্যাসটিন। খাঁটি ব্রিটিশ ঢঙ আর বিলাতি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আদলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। তবে ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠার পটভূমিও বেশ চমৎকার। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইংরেজরা ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এ অঞ্চলের শাসকে পরিণত হয় তারা। ইংরেজরা নিজেদেরকে শাসক হিসেবে পরিচয় না দিলেও ১৭৭২ সালে গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস এই মুখোশ খুলে দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে সরাসরি এ দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। পরবর্তী ৬২ বছর পর্যন্ত তারা এই অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য     কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। 

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ এর প্রধান প্রবেশদ্বার : ছবি - ইন্টারনেট

এত দীর্ঘ সময়ে এই অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা ঐতিহ্যগতভাবেই চলছিল। এরপর ১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের এই আগ্রহ দেখে ১৮৩০ সালে সরকার এক শিক্ষানীতি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে ১৮৩৫ সালে ২০ এপ্রিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কিত দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ‘জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (General Committee of Public Instruction) লর্ড বেন্টিকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। 

প্রতিবেদনটিতে ইংরেজি সাহিত্য ও বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য যতগুলো সম্ভব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। ওই প্রতিবেদনের হাত ধরেই ১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই থেকে বুড়িগঙ্গার তীরে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ‘ঢাকা ইংলিশ সেমিনারি’ যেটি বর্তমানে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত।’ শিক্ষা-দীক্ষায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তৎকালীন সিভিল সার্জন ড. জেমস টেইলর ও ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মি. গ্রান্টের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজের সামগ্রিক চিত্র বদলে যেতে থাকে।

ইংলিশ সেমিনারি স্কুল (বর্তমানে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল) ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৩টি কক্ষ নিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের যাত্রা শুরু হয়। স্থানীয় ‘জনশিক্ষা কমিটি’কলেজ ভবনের জমি ক্রয় করেন। ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড ড্যানিয়েল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবনের নকশা তৈরি করেন কর্নেল গ্যার্সটিন। ১৯৪৬ সালে ভবনের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় এবং ঐ বছরের ২৫ মে ছাত্ররা নতুন ভবনে তাদের নতুন শিক্ষা জীবন শুরু করে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং হিন্দু কলেজের শিক্ষক জে. আয়ারল্যান্ডকে প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করা হয়। যাত্রালগ্ন থেকেই পূর্ববঙ্গের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়ায় এখন পর্যন্ত ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

১৮৫৪ সালে স্যার চার্লস উড-এর ‘এডুকেশন ডেসপাচ’এর বদৌলতে ভারতীয় আধুনিক শিক্ষায় শৃঙ্খলা ও সমন্বয় তৈরি হয়। নতুন শিক্ষানীতির কারণে ১৮৫৪ সাল থেকে ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্ররা সমগ্র ভারতের একমাত্র চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় এবং ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরই ঢাকা কলেজকে এর অধিভুক্ত করে নেওয়া হয়। প্রথম বছরেই বি.এ. পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকা কলেজ থেকে ৪ জন ছাত্রকে প্রেরণ করা হয়- যদিও একজন ছাত্র এ পরীক্ষায় অংশ নেন যার নাম দীননাথ সেন। উচ্চ শিক্ষার এ যাত্রায় ১৮৭৫ সালে ঢাকা কলেজে প্রতিষ্ঠা করা হয় স্বতন্ত্র বিজ্ঞান ভবন। অতঃপর দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত, আইন ও বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ঢাকা কলেজ হয়ে ওঠে পূর্ববঙ্গের আধুনিক শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র-যা অব্যাহত থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ ১৯২১ সাল অবধি। ১৯০৩ সালে ঢাকা কলেজের জন্য অবকাঠামো বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হয় এবং ১৯০৪ সালে জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এরই ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গের পর রমনা এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নতুন ঢাকায় ১৯০৮ সালে ঢাকা কলেজ স্থানান্তরিত হয় কার্জন হল ও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অট্টালিকায়। এখানেই স্বতন্ত্র বিজ্ঞান ভবন, ছাত্রদের জন্য ঢাকা কলেজ হোস্টেল (প্রথমে ঢাকা হল নামে এবং বর্তমানে শহীদুল্লাহ হল নামে পরিচিত), অধ্যাপকদের জন্য চারটি বাসভবনসহ মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঢাকা কলেজ রূপান্তরিত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক কলেজে। ইতোমধ্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন-প্রদীপ জ্বালাতে ঢাকা কলেজের যে মহিমাময় ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসে তা বিরল। বস্তুত ঢাকা কলেজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, বিভিন্ন ভবন, পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, বই-পুস্তক ইত্যাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হয় বলেই ১৯২১ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় তার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে। কলেজের বিপুল পরিমাণ জমি ও ক্যাম্পাস, হোস্টেলসহ অন্যান্য অবকাঠামো, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, মেধাবী ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা বিভিন্ন বৃত্তি ইত্যাদিও হস্তান্তর করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। অন্যদিকে ঢাকা কলেজের নতুন ক্যাম্পাস নির্দিষ্ট হয় পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে। এখানে একটি কথা উল্লেখ্য, আজকের প্রজন্মের অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, কার্জন হলের পূর্ব পাশের সড়কটি কেন কলেজ রোড নামে পরিচিত, কারণ এ সড়কটির নামকরণ করা হয়েছিল তখন, যখন কার্জন হল ছিল ঢাকা কলেজ। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত সৈনিকদের পুনর্বাসনের জন্য হাইকোর্টের কলেজ ভবনটি ছেড়ে দিতে হয়। তখন কলেজটি লক্ষীবাজারে অবস্থিত ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান সরকারি কবি নজরুল কলেজ) স্থানান্তর হয়। পরবর্তীকালে লক্ষীবাজার থেকে সিদ্দিক বাজারে অবস্থিত মরহুম খান বাহাদুর আব্দুল হাই এর একটি ব্যক্তিগত ভবনে কলেজের দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কলেজের হোস্টেল তৈরি করা হয়। ১৯৫৫ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে নতুন অবকাঠামোয় নতুনরূপে শুরু হয় ঢাকা কলেজের অভিযাত্রা।

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
কার্জন হল (১৯০৮) সে সময় ঢাকা কলেজ এর হল হিসেবে ব্যবহার হতো : ছবি - ইন্টারনেট


ঢাকা কলেজ নিয়ে লেখা ইতিহাস

১৮৬৬ সালে ঢাকায় কর্মরত ইংরেজ জয়েন্ট কালেক্টর আর্থার লয়েড ক্লের লেখা  ‘Principal Heads of the History and statistics of the Dacca Division’ নামক এক প্রতিবেদনে ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে চমৎকার তথ্য পাওয়া যায়। তার লেখা এই প্রতিবেদনটি পরবর্তী ১৮৬৮ সালে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়— ‘Founded by the British Government of India, for the instruction of the native youths of the Eastern Districts of Bengal in European literature and Science.The first stone of the edifice is laid by the Right Reverend Daniel, Lord Bishop of Calcutta, and Metropolitan of India. On the 20th day November, A.D. 1841, in the reign of Her most Majesty.

এছাড়াও ঢাকা কলেজের সাবেক দর্শন বিভাগের শিক্ষক সাইদুর রহমান তার ‘শতাব্দীর স্মৃতি’ বইতে লিখেছেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সেদিন সাধারণ ছাত্ররা ধর্মঘট ডাকার কারণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুকূল অবস্থা আর ছিল না। ছাত্ররা খেলাধুলার বদলে সেদিন ধর্মঘট সফল করার জন্য ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে গিয়েছিল।’

সেদিনের ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র ইকবাল আনসারী খান। যিনি পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বৈঠকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পরিকল্পনা করা হয়। ওই সময় ইকবাল আনসারী খান ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দলের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিলেন। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।


দেশের তরে ঢাকা কলেজ

১৯৩৯-৪৫ সালের বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪১ সালের দোল দাঙ্গা, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তথা শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে এই কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ ছিলো অগ্রভাগে।

$ads={2}

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা কলেজের আট ছাত্র শহীদ হয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া এই আট বীরকে শ্রদ্ধায় জড়িয়ে রাখতে মূল ভবনের প্রবেশদ্বারের বাম পাশে দেয়ালে পাথরখচিত স্মৃতিফলক রাখা আছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররমের নামে ঢাকা কলেজের মূল অডিটোরিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। শহীদদের প্রতি সম্মান ও তাদের স্মৃতি অমলীন রাখতে পর্যায়ক্রমে আবাসিক হলসমূহের নাম এই বীর শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে বলেও জানায় কলেজ প্রশাসন। ঢাকা কলেজে এখন পর্যন্ত ৭৩ জন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস (১৮৭২) : ছবি - ব্রিটিশ লাইব্রেরী

রাজধানী জুড়ে ঢাকা কলেজ

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা কলেজ তার সর্বস্ব দিয়ে ঠাঁই নেয় পুরাতন হাইকোর্টের লাট ভবনে (বর্তমান সুপ্রিম কোর্টে)। ১৯৩৯ সালে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সশস্ত্র সেনারা হাইকোর্ট ভবন দখল করে তাঁবু হিসেবে ব্যবহার করে। ১৯৪৩ সালে ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজের (বর্তমান কবি নজরুল কলেজের মূল ভবনে) কিছু দিন অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম চালায়। এর অল্পদিন পরেই ফুলবাড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন সিদ্দিকবাজারে খান বাহাদুর আবদুল হাইয়ের মরচে ধরা পুরাতন দালানে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৫৫ সালে তার আপন গৃহের সন্ধান পায় ঢাকা কলেজ। স্থায়ী ঠিকানা হয় মিরপুর রোড, ধানমন্ডি ঢাকা-১২০৫-এ। সে সময়ে ঢাকা কলেজের আয়তন ছিলো ২৪ একর। তবে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের সময় ছয় একর জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয় ঢাকা কলেজকে। বর্তমানে ঢাকা কলেজের মোট জমির পরিমাণ ১৮ একর। 


ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাস সৌন্দর্য

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি ঢাকা কলেজ ১৮.৫৭ একর জমির উপর অবস্থিত। এর সম্মুখভাগে রয়েছে সুদৃশ্য বাগান, লন টেনিস ও বাস্কেটবল খেলার মাঠ। পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ৮টি ছাত্রাবাস ও মসজিদ। কলেজের মূল ভবনের পেছনে এবং ছাত্রাবাসের সম্মুখে রয়েছে ২টি বিশাল খেলার মাঠ ও একটি পুকুর। পুকুরের পাড়ে কলেজের ক্যান্টিন ও জিমনেসিয়াম। পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে অর্থাৎ প্রধান গেটের সামনেই শহিদ মিনার, আইসিটি ভবন, উদ্ভিদবিদ্যা ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন ও শিক্ষকদের জন্য একটি আবাসিক ভবন। এছাড়া শহীদ মিনারের পাশেই সদ্য নির্মিত হয়েছে একটি ১০ তলা একাডেমিক ভবন।


ঢাকা কলেজের একাডেমিক ব্যবস্থা

‘কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান’‘ব্যবসায় শিক্ষা’এবং ‘বিজ্ঞান’অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগ রয়েছে ঢাকা কলেজে। ১৯টি বিভাগেই স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি [ICT] বিষয়ে স্নাতকোত্তর ছাত্রদের জন্য ননক্রেডিট কোর্স চালু আছে। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগে ২২০ জন শিক্ষক আছেন। কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই পিএইচডি ও এমফিলসহ অন্যান্য উচ্চতর ডিগ্রিধারী। ঢাকা কলেজে অনেক খ্যাতিমান পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা কলেজের অনেক শিক্ষার্থী স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় ও ছাত্র আন্দোলনসমূহে ঢাকা কলেজের অবদান অপরিসীম। ১৯৬২ সালের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল আন্দোলন এবং ১৯৬৯ ও ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এ কলেজের ছাত্র-শিক্ষকগণ স্মরণীয় ভূমিকা পালন করে নজির স্থাপন করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি সফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কলেজ নিরন্তর অবদানে সগৌরবে সমুজ্জ্বল।


ঢাকা কলেজ এর বিষয়ভিত্তিক বিভাগসমূহ

  • দর্শন
  • ব্যবস্থাপনা
  • হিসাববিজ্ঞান
  • প্রাণিবিজ্ঞান
  • রসায়ন
  • গণিত
  • পদার্থবিজ্ঞান
  • ইতিহাস
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি
  • সমাজবিজ্ঞান
  • মনোবিজ্ঞান
  • বাংলা
  • পরিসংখ্যান
  • ইংরেজি
  • উদ্ভিদবিজ্ঞান
  • অর্থনীতি
  • ইসলামি শিক্ষা
  • ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান


কীর্তি গাথাদের মেলবন্ধন ঢাকা কলেজ

ঢাকা কলেজে এখন পর্যন্ত ৭৩ জন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ড. টি ওয়াইজ, ডব্লিউ ব্রেনাড, ডব্লিউ বুথ, এফ সি টার্নার, এ জে আর্চিবল্ড এবং ড. পি কে রায় অন্যতম। এ ছাড়া শওকত ওসমান, আশরাফ সিদ্দিকী, সৈয়দ আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিরাও এ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। 

এ ছাড়া শওকত ওসমান, আশরাফ সিদ্দিকী, সৈয়দ আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিরাও এ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের তালিকায় আছেন খান বাহাদুর বজলুর রহিম, চট্টগ্রাম বিভাগের স্কুল পরিদর্শক আবদুল আজিজ, কলকাতার অতিরিক্ত প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদুর রহমান, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নিবন্ধক নাজিরউদ্দীন আহমদ, লেখক হুমায়ূন আহমেদসহ বহু নামী রাজনৈতিক, খেলোয়াড় ও সরকারি আমলা।


ঢাকা কলেজ এর পাঠাগার

কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় ১৮৪১ সালে ঢাকা কলেজের পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লাইব্রেরিতে সজ্জিত পাঠকক্ষসহ ৫০ হাজার বই রয়েছে। গ্রন্থাগারটি প্রতিদিন দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠ্য সহায়তা সরবরাহ করে। এটি সকাল ৮টায় খোলে এবং বিকেল ৪টায় বন্ধ হয়।


ঢাকা কলেজ এর ছাত্রাবাস

বর্তমানে ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসের সংখ্যা আটটি। এগুলো হলো - 

১। উত্তর ছাত্রাবাস, 

২। দক্ষিণ ছাত্রাবাস, 

৩। দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাস, 

৪। শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাস - ১৯৯২ সালের ২৫ আগস্ট নীলক্ষেতের বাকুশাহ মার্কেটে ঘাতকরা নির্মমভাবে ফরহাদকে হত্যা করে। তিনি ছিলেন ১৯৯১-৯২ সেশনে দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তারই স্মরণে নামকরণ করা হয় এই ছাত্রাবাসের। 

৫। আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, -‘আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস’। এই ছাত্রাবাস একটা বিশেষ কারণে বিখ্যাত। এই ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলায় ২০৯ নং কক্ষে নিজের শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম। 

৬। পশ্চিম ছাত্রাবাস -‘পশ্চিম ছাত্রাবাস’ স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। এই ছাত্রাবাসে শুধু সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের বসতি।

৭। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস - বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক ‘চিলেকোঠার সেপাই’ খ্যাত আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ থেকে ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এই লেখকের স্মরণে নির্মিত হয়েছে ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস’। ‘পশ্চিম ছাত্রাবাস’ স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে।

৮। শেখ কামাল ছাত্রবাস। 

ছাত্রাবাসগুলোতে প্রায় দুই হাজারের মতো আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব ছাত্রাবাসে কত যে দেশবরেণ্য মানুষের বসবাস ছিলো তার সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন।


ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ এর প্রথম ছাত্রাবাস, বর্তমানে ঢাবির এসএম হল : ছবি - ইন্টারনেট


ঢাকা কলেজ এর জন্য কার্জন হলের নির্মাণ

রাজধানী ঢাকার লাল রঙের দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপত্য যে কারও নজর কাড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত এই ভবন কার্জন হল নামেই পরিচিত। ভিক্টোরীয় স্থাপত্যরীতি, মোগল স্থাপত্যশৈলী ও বাংলার স্বতন্ত্র সংবেদনশীল বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভবনটি তৈরি। ১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি ভাইসরয় লর্ড কার্জন ন্যাথনিয়েল কার্জন ঢাকায় এসে কার্জন হলের উদ্বোধন করেন। ১৯০৮ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। ফেসবুকে সক্রিয় ‘ঢাকা: ফোর হানড্রেড ইয়ারস হিস্ট্রি ইন ফটোগ্রাফ’ শীর্ষক একটি পাতায় ১৯০৮ সাল ও পরবর্তী সময়ের কার্জন হলের তিনটি পুরোনো ছবি পাওয়া যায়। ইতিহাসবিদ আহমদ হাসান দানীসহ কারও কারও মতে, উনিশ শতকের শেষভাগ থেকেই ঢাকা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত হয়ে ওঠে। সভা, আলোচনা, বিতর্ক, সংবর্ধনাসহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য একটি টাউন হল নির্মাণের দাবি ওঠে। সে জন্যই এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। 

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ হল, (কার্জন হল) বর্তমানে ঢাবির বিজ্ঞান ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয় : ছবি - ইন্টারনেট 

জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়াতেও বলা হয়েছে, ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামানুসারে এ ভবন টাউন হল হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে এটি ঢাকা কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ভবনটি বিজ্ঞান বিভাগের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে এবং এখনো এভাবেই চলছে। তবে শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ-এ বলা হয়েছে, কার্জন হল মূলত ঢাকা কলেজের নতুন ভবন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৮ সালে জিন্নাহ যখন এই কার্জন হলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দেন, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এখান থেকে প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কেউ যদি আজও কার্জন হলের মূল ভবনের সামনে যান, তবে ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জনের উদ্বোধন করা নামফলকটি দেখতে পাবেন। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগের সংখ্যা বাড়ায় কার্জন হলের অবয়বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। ১১২ বছর ধরে ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য আর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কার্জন হল।


ঢাকা কলেজ এর পরিবহন ব্যবস্থা

শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ঢাক কলেজের পরিবহন পুলে রয়েছে আটটি বাস। 

ঢাকা কলেজ - Dhaka College
ঢাকা কলেজ এর বাস : ছবি - ইন্টারনেট

সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও সামাজিক সংগঠন এর ঢাকা কলেজ

পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে রয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী এবং সামাজিক সংগঠন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ
  • ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতি
  • বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট
  • ঢাকা কলেজ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব
  • বিজনেস ক্লাব
  • ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
  • ডিবেটিং সোসাইটি
  • রাইটার্স ফোরাম
  • মিউজিক স্কুল
  • আবৃত্তি সংসদ
  • সোস্যাল সাইন্স ক্লাব
  • সায়েন্স ক্লাবসহ আরও অনেক সংগঠন। 

শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য বড় বড় দুটি মাঠ। টেনিস গ্রাউন্ড রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভেতর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে স্বাধীনতা চত্বর, বিজয় চত্বর। রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর ঘাট। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে পানির পাম্প।


তথ্যসূত্র:

১। ঢাকা কলেজ ওয়েবসাইট 

২। আমার সংবাদ 

৩। উইকিপিডিয়া 



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন