শুকরিয়া আদায় বা নামাজের বাহিরের সিজদার বিধান

আরও পড়ুন

শুকরিয়া আদায় বা নামাজের বাহিরের সিজদার বিধান
শুকরিয়া আদায়ের সিজদাহ্ : ছবি - সংগৃহীত 


প্রশ্ন : আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু চাওয়ার জন্য বা কোন নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য কী নামাজের বাহিরে সেজদা দেওয়া যাবে?

সেজদা দেওয়া গেলে সঠিক নিয়ম কি?

উত্তর : আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু চাওয়ার জন্য নামাজের বাহিরে আপনি একটি সেজদা দিয়ে বা দুটি সেজদা দিয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে সেজদার মাধ্যমে যেহেতু বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নৈকট্য অর্জন করতে পারে, সেজদায় গেলে দোয়া করার ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশনা রয়েছে। অতএব সিজদায় গিয়ে আপনি দোয়া করতে পারবেন বা চাইতে পারবেন।

এজন্য আপনি সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তাসবিহ পাঠ করবেন এবং আপনি আল্লাহর কাছে যা খুশি তা পেশ করবেন, চাওয়াগুলো কে বিনিময় আল্লাহর কাছে নিবেদন করবেন।

এর পাশাপাশি আল্লাহ আপনাকে যে নেয়ামত দিয়েছেন শুকরিয়া আদায় করবেন এবং পেয়েছেন সেজন্য আপনি সাথে সাথে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন এবং সেখানে গিয়ে সুবহানা রব্বিয়াল আলা পাঠ করতে থাকলেন এরপর আপনি মাথা উঠালেন যথানিয়মে এর মাধ্যমেও আপনি সেজদা করতে পারবেন। আবার প্রার্থনার জন্য দোয়া করতে পারবেন সেজদায় লুটিয়ে পড়তে পারবেন।

এছাড়াও শুকরিয়া আদায় বা নামাজের বাহিরে সেজদার ব্যাপারে রয়েছে নবী করিম (সাঃ) এর অনেক হাদিস। নিম্নে এ সম্পর্কিত হাদিসগুলো দেয়া হলো:

$ads={1}

হ্‌ঠাৎ কোন সুসংবাদ, সুখের খবর বা সম্পদ লাভের খবর পেলে অথবা বড় বিপদ দূর হওয়ার সংবাদ শুনলে মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে শুকরানার (একটি) সিজদাহ মুস্তাহাব।

মহানবী (ﷺ) কোন আনন্দদায়ক সংবাদ শুনলে অথবা শুভ সংবাদ পেলে আল্লাহ তাআলাকে শুকরিয়া জানানোর জন্য সিজদায় পতিত হতেন। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ১৪৯৪নং)

হযরত আলী (রাঃ) যখন মহানবী (ﷺ)-কেহামাযান গোত্রের লোকেদের ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার কথা লিখলেন, তখন তিনি সিজদাহ করলেন এবং উঠে বললেন, “হামাযানের উপর সালাম,হামাযানের উপর সালাম।” (বায়হাকী)

আব্দুর রহ্‌মান বিন আওফ (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল (ﷺ) বের হয়ে এক খেজুর বাগানে প্রবেশ করে সিজদায় গেলেন। তিনি এত লম্বা সময় ধরে সিজদায় থাকলেন যে, আমি আশঙ্কা করলাম, হয়তো বা আল্লাহ তাঁর প্রাণ হ্‌রণ করে নিয়েছেন। আমি নিকটে উপস্থিত হয়ে দেখতে গেলাম। তিনি মাথা তুলে বললেন, “আব্দুর রহ্‌মান! কি ব্যাপার তোমার?” আমি ঘটনা খুলে বললে তিনি বললেন, “জিবরীল (আঃ) আমাকে বললেন, আমি কি আপনাকে সুসংবাদ দেব না? আল্লাহ আয্‌যা জাল্ল্‌ আপনাকে বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার প্রতি দরুদ পড়বে, আমি তার প্রতি রহ্‌মত বর্ষণ করব। আর যে ব্যক্তি তোমার প্রতি সালাম জানাবে, আমি তাকে শান্তি দান করব।’ এ খবর শুনে আমি আল্লাহ আয্‌যা অজাল্লার নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সিজদাহ করলাম।” (আহমাদ, মুসনাদ,হাকেম, মুস্তাদরাক)

তওবা কবুল হওয়ার সুসংবাদ এলে কা’ব বিন মালেক সিজদাহ করেছিলেন। (বুখারী)

শুকরানার সিজদার জন্য ওযূ জরুরী নয়। জরুরী নয় তাকবীরও।

তথ্যসূত্র:

১। শুকরিয়ার সিজদাহ

২। শুকরিয়ার সিজদা কীভাবে দেবেন ?



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন