আপনি কি জানেন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কোনটি? এইচএসসি? না! বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা? উঁহু, এটাও না! তাহলে? উত্তরটা খুব সহজ, বিসিএস পরীক্ষা! ৪১ তম বিসিএস-এ ২,১৬৬টি শূন্য পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থী, যা বিসিএসের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক! অর্থাৎ একটি আসনের বিপরীতে গড়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন ২২০ জন।
বিসিএসে সাধারণত ২ ধরনের পরীক্ষার্থী থাকেন, তাহলে দুই ধরনের পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি দুই ধরনের হওয়া উচিত। যেমন সব রোগের জন্য কেবল নাপা খেলে কাজ হবে না; ঠিক একইভাবে সবার প্রস্তুতির স্টাইল একই রকম হলে কাজ না-ও হতে পারে।
$ads={1}
তাই আজ আমরা আলোচনা করবো প্রথমবারের মত যারা ৪৫তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করবেন তাদের জন্য। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
প্রিলিতে মূল বিষয় ৪ টি থাকে! কি, আমার কথা শুনে আতকে উঠেননি ত আবার! আতকে উঠবেন না, আমি বলছি নম্বর উঠানো সহজ হচ্ছে এই চারটি বিষয় থেকে। তাই আমাদের সবার আগে এই চার বিষয়ের প্রতি আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। যদি আপনি বিজ্ঞান বা বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ই হবে এ চারটি। যার মধ্যে আছে-
১। বাংলা - ৩৫
২। ইংরেজি - ৩৫
৩। বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান - ৩০
৪। এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান - ২০
সব মিলিয়ে ১২০ নম্বর। আপনি যদি এই ১২০ এর মধ্যে ৯০ বা ৯৫ নম্বর পেতে পারেন তাহলে আপনার প্রিলি অনেকটা নিশ্চিত বলা যেতে পারে।
$ads={2}
তাহলে এই ১২০ থেকে কিভাবে ৯০+ নম্বর পাওয়া সম্ভব, তাহলে চলুন দেখি সে অংকটা একটু মিলিয়ে নেই।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান থেকে কিছু কমন টপিক থেকেই ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসে। অধিকাংশ প্রশ্নই রিপিট হয়।এখান থেকে অনায়াসেই ৪০+ নাম্বার তোলা যায়।
বাংলা প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। বিশেষ করে সাহিত্য অংশে। ভালো প্রস্তুতি থাকলে ২৫+ নাম্বার তোলা যাবে।
ইংরেজি প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়। গ্রামার অংশ তুলনামূলক সহজ থাকে। সাহিত্য অংশ যেকোনো বই থেকে পড়লেই মোটামুটি ১০/১২ টি কমন পাওয়া যায়। তাই মুটামুটি বলা যায় ইংরেজিতে ২৮-৩০ মার্ক পাওয়া সম্ভব।
তাই আমরা বলতেই পারি যে, এই চারটি বিষয় থেকে ৯০ বা ৯৫ নম্বর উঠাতেই পারবো। আর যদি সেটা হয়ে যায় তাহলে বাকি অংকটাও একটু মিলিয়ে দেখুন।
গণিত, মানসিক দক্ষতায় যথাক্রমে ১৫ ও ১৫ নম্বর থাকে। যারা গণিতে দুর্বল তারা প্রিলির জন্য গণিত না করে রিটেনের জন্য করবেন। তাতে প্রিলিতেও ৫/৬ মার্ক পেয়ে যাবেন আবার রিটেন প্রিপারেশনও হবে।মানসিক দক্ষতা অংশে প্রশ্ন সহজ হয় তাই বিগত সালের প্রিলি ও লিখিত প্রশ্নের উত্তরগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ার চেষ্টা করুন।
ভূগোল ও নৈতিকতা বিষয়ে থাকে যথাক্রমে ১০ ও ১০ নম্বর। এর মধ্যে ভূগোল বাংলাদেশ আর আন্তুর্জাতিক বিষয় পড়লেই নব্বই শতাংশ পড়া শেষ ধরে নিতে পারেন। এছাড়া বিগত সালের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়তে পারেন। নৈতিকতা ১০ নম্বর। এটা নিয়ে খুব বেশি চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বিগত সালের প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলো দেখে যান ভালভাবে তাহলেই হবে।
৪.বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে যথাক্রমে ১৫ ও ১৫ নম্বর থাকে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অংশের সিলেবাস অনেক বড় কিন্তু এখানে সে তুলনায় নম্বর অনেক কম। তাই যারা বিজ্ঞানের ছাত্র না তারা এখান থেকে খুব বেশি আশা করা উচিৎ না। তবে যেটুকু পারা যায় পড়ার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই অবশ্যই বিগত সালের হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নগুলো ভালভাবে পড়ে যাবেন। তাতে করেই পঞ্চাশ শতাং কমন পড়বে বলে ধারণা করা যায়। একই কথা তথ্যপ্রযুক্তি অংশের ক্ষেত্রেও। তাই এখানেও আগের পদ্ধতি অবলম্বন করার চেষ্টা করুন। আর বিগত সালের প্রশ্ন গুলো পড়তে যেনো ভুল না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন