 | ||||
জার্মানিতে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থী : ছবি - সংগৃহীত বিশ্বের ধনী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসরমাণ দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক ও যুগোপযোগী। বিশেষ করে এই দেশ শিক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। এই দেশেই রয়েছে বিশ্বের অনেক নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখের অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে শিক্ষার্থীর প্রথম কাজ হচ্ছে জার্মান দূতাবাস, ঢাকার ওয়েবসাইট ভিজিট করা। সেখানে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের জন্য চেকলিস্ট দেওয়া থাকে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জার্মান ব্যাংকে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট করে সেখানে ১০ হাজার ২৩৬ ইউরো (আনুমানিক ১০ লাখ টাকা) জমা দিতে হবে।
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার ফি জমা দিতে নিচের লিংকে গেলে আপনি জার্মান ব্যাংক ওয়েব অ্যাড্রেস পাবেন, যেখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।ওয়েব এড্রেস । তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, এই টাকা শিক্ষার্থীর নিজের অ্যাকাউন্টেই জমা থাকবে। এই টাকা টা শুধুই দেখানো যে জার্মানিতে আপনি নিজের খরচ মেটাতে পারবেন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ইউরো জমা দেওয়ার বিস্তারিত পদ্ধতি ও সব রকম তথ্য জার্মান দূতাবাস এর বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। এরপর ও যদি কোন তথ্যজনিত সাহায্য লাগে তাহলে জার্মানি দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। জার্মানির এম্বাসিতে সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন অথবা ই–মেইল বা ফোনেও কথা বলে নিতে পারেন। জার্মানি দূতাবাস আন্তরিকতার সঙ্গে সাহায্য করে।
আপনার দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে, আপনাকে জার্মান দূতাবাস, ঢাকার কিছু মার্ক করা হেলথ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ইনস্যুরেন্স করিয়ে নিতে হবে। এসব কোম্পানিতে কোম্পানিভেদে তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে ইন্সুইরেন্স করাতে। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে সার্চ দিলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির তালিকাগুলো পাবেন। অথবা এই লিংকে করলেই তালিকা পেয়ে যাবেন। এবার চেকলিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র প্রস্তুত করে ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ নিয়ে নিন। অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য এখানে ক্লিক করুন। চেকলিস্ট দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন। মূল কাগজপত্র এক সেট সাজিয়ে সঙ্গে ভিসার জন্য আবেদনপত্র (অনলাইন ফরম) অথবা (অফলাইন ফরম) দুই সেট পূরণ করে স্বাক্ষর করতে হবে। এ ছাড়া চেকলিস্ট অনুযায়ী সব কাগজ দুই সেট ফটোকপি করে সাজাতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে নিচের ফরম্যাটে পাসপোর্ট ছবি সংযুক্ত করতে হবে। সঙ্গে নিতে হবে ৩২ হাজার মতো টাকা, যার মধ্যে ৭৫ ইউরো (আনুমানিক সাড়ে সাত হাজার টাকা) ভিসা আবেদনের জন্য এবং নগদ ২৪ হাজার টাকা আপনার সার্টিফিকেটগুলো ভেরিফিকেশনের জন্য। ভিসা ইন্টারভিউয়ের ১০ থেকে ১৫ মিনিট জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। খুব মাপকাঠি বজায় রেখে প্রশ্নকর্তার সব প্রশ্নের উত্তর মার্জিতভাবে দিয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করতে হবে জার্মানিতে পড়াশোনা করাই আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য। মনে রাখতে হবে, তিনি আপনার ভিসা ইচ্ছা করলে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে বাতিল করে দিতে পারেন। প্রশ্নকর্তার সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ করে যদি সব কাগজ ঠিকঠাক থাকে এবং তিনিও আপনার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হন, তখন তিনি আপনার মূল কাগজপত্র ফিরিয়ে দিয়ে ফটোকপি করা কাগজগুলো রেখে দেবেন।
জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে লাগে চার সেমিস্টার (দুই বছর)। এরপরে আপনার অপেক্ষার পালা। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করি সর্বোচ্চ ৪০ দিনের মধ্যে তিন মাসের জন্য জার্মানির ভিসা আপনি পেয়ে যাবেন। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরবর্তী সময়ে জার্মানিতে আসার পরে হোম অ্যাড্রেস কনফারমেশন, সিটি রেজিস্ট্রেশন, ভার্সিটি ইনরলমেন্ট কনফারমেশন, জার্মান হেলথ ইনস্যুরেন্স, ব্লক করা টাকার আপডেটেড ডকুমেন্টস দেখিয়ে এক থেকে দুই বছরের জন্য ভিসা পাবেন নিশ্চিন্তে পড়াশোনা, গবেষণা ও পার্টটাইম জব করার জন্য। |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন